কোনাে এক বুযুর্গ বলেছেন :
‘যে রাতের মর্যাদা বুঝে নি, সে কদরের রাত্রির মর্যাদাও বুঝে নি।’
হাকিমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলি থানবি রহ. বলেন : বুস্তা কিতাবে ঘটনা আছে, ঘুটঘুটে অন্ধকার রজনীতে কোনাে এক শাহজাদার একটি মােতি হারিয়ে গিয়েছিল। তৎক্ষণাৎ ঐ জায়গার সমস্ত কঙ্কর একত্রিত করার নির্দেশ দিল। শাহজাদার এই অবান্তর কষ্টসাপেক্ষ নির্দেশ পেয়ে এক কর্মচারী বিনীতভাবে আরজ করল, জনাব! এতে লাভ কী?
প্রত্যুত্তরে শাহজাদা বলল : যদি কিছু কঙ্কর একত্রিত করা হয় তাহলে তাতে মােতি না আসার সম্ভাবনাও রয়েছে। কিন্তু সমস্ত কঙ্কর-পাথর জমা করলে মােতি পাওয়া যাবে নিশ্চিতভাবে, অবশ্যম্ভাবীরূপে।
‘হে মালি সর্দার! শবে কদরের মূল্য সম্পর্কে কী জিজ্ঞেস কর? প্রতিটি রাতই শবে কদর; যদি তুমি তার কদর বুঝ!’
এতৎসত্ত্বেও অধিকাংশ মানুষ ইবাদতের স্বাদ ও মুনাজাতের জান্নাতি আনন্দ থেকে বঞ্চিত এবং অলস। কেননা, প্রতি রাত্রে রাতজাগা ইবাদতের দৃঢ়তা ও সংকল্প কজনে করতে পারে?
এমন লােকদের জন্য গনিমত হল, কিছু বিশেষ রজনীতে সার্বিকভাবে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করে তাঁর রেজামন্দি ও সন্তুষ্টি হাসিল করে নিবে। এই চেতনা ও প্রেরণায় বিশেষকিছু রজনীর ফজিলত লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। মহান রাব্বুল আলামিনের তরে এই প্রার্থনা, প্রভু হে! কট্টর ও শিথিলতা থেকে বাঁচিয়ে সিরাতে মুস্তাকিমের ওপর চলার তৌফিক দাও। আমিন।
কুরআন ও হাদিসে যেসব রাত্রির ফজিলত বর্ণিত হয়েছে :
১. জুমুআর রাত্রি
২. রজবের প্রথম রাত্রি
৩. মেরাজের রাত্রি
৪. বরাতের রাত্রি
৫. কদরের রাত্রি
৬. ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার
৭. জিলহজের প্রথম দশ রাত্রি।
Reviews
There are no reviews yet.