কোলাহলময় কর্মব্যস্ত জীবনে হাফ ছেড়ে বাঁচার জন্যে আমাদের প্রয়োজন কুরআনের সাহচর্য। আরো প্রয়োজন এমন কিছু বই যা কিতাবুল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্ক বাড়িয়ে দিবে। “কখনও ঝরে যেও না”- সেরকই জীবণকে বদলে ফেলবার মতোন একটি বই।
‘কখনো ঝরে যেওনা’বই পড়ার সময় মনে হয়েছে কখনও সালাফদের হালাকায় চলে যাচ্ছি, কখনও রসূল(সা) থেকে সরাসরি হাদিস শুনছি, কখনও মনে হয়েছে সাহাবীদের আলোচনায় বসে আছি, বড় বড় সাহাবীদের থেকে দ্বীন শিখছি! একজন সালাফ যথার্থই বলেছিলেন, “নসীহা যদি অন্তর থেকে না আসে,তাহলে তা নিষ্ফল। অন্তর থেকে আসা কথা অন্তরে গিয়ে পৌঁছায়। আর মুখের কথা এক কান দিয়ে ঢুকে আরেক কান দিয়ে বের হয়ে যায়।” তারিক মেহান্নার কথাগুলো যেনো অন্তর চিরে বেরিয়ে যায়! আমিকে এক নতুন আমিতে রুপান্তর করে দেয়! কিছু পাথর হয়তো হীরার মত ঝলমল করে, তাদের ঝলকানির স্থায়ীত্ব কিন্তু ক্ষনস্থায়ী! কখনো কি কোনো হীরাকে পাথরের মত আচরন করতে দেখেছেন? হীরা কিন্তু কখনোই সাধারন পাথরের মতন আচরন করে না, কারন তা তাকে মানায় না, হীরক খন্ডটা সাধারনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে, সে সবার দৃষ্টিতে পড়ে না, এবং সে তা চায় ও না! মুৃমিনের বৈশিষ্ট্য হলো সে হীরার মতন যার ঝলকানি আকর্ষনের আশা করে না, সে কখনো ঝরে যেতে চায় না, কারন ঝরে যাওয়া তাকে মানায় না! মা হাজেরা যদি ঝলকানি দেখানোর প্রত্যাশা করতেন, সাফা মারওয়া সাঈ হয়ত আমরা শিখতাম না! বাবা ইব্রাহীমের কোরবানির ইতিহাস ঐ মরুতেই চাপা পড়ে যেতো…. আপনার রব আপনার থেকে ইস্তিকমাত আশা করেন, শুধুমাত্র তাঁর জন্য, একান্তই তাঁর জন্য…… আদৌ আপনার ইস্তিকমাত অর্জনের জন্য আর কি কোনো কারন যোগ্য থাকতে পারে, আপনার রবের সন্তুষ্টি অর্জন ব্যতীত! তারিক মেহান্নার কথাগুলো এ অনুভূতি সৃষ্টি করে দেয়। কখনো ঝরে যেও না বইটা স্টকে না থাকা লস, গ্রেট লস!
“একদিন নিশ্চই আল্লাহ চোখের পানিগুলো মুছে দিবেন, অন্তরগুলো প্রশান্ত করবেন, তুমি শক্ত হয়ে জমে থাকো, কখনো ঝরে যেও না।
Reviews
There are no reviews yet.